হাওর বার্তা ডেস্কঃ বান্দরবানে প্রবল বর্ষণে রুমা উপজেলার সড়কে পাহাড় ধসের ঘটনায় সিংমেহ্লা মারমা (১৮) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মী মুন্নি বড়ুয়া(৩০), রুমা উপজেলার পোষ্ট মাষ্টার রবিউল (৫০), রুমা কৃষি ব্যাংকে সেকেন্ড অফিসার গৌতম নন্দি ও মেসিং মারমা সহ (১৫) চারজন। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে চারজনকে।
রোববার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পাহাড় ধসে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার রাত থেকে ভারী বর্ষণে রুমা সড়কের দৌলিয়ানপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ৯টা ৪০মিনিটের সময় বান্দরবান শহর থেকে রুমা উপজেলার উদ্দেশে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস দৌলিয়ানপাড়া এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা পাহাড় ধসের মুখে পড়ে। বন্ধ হওয়া সড়কটি পায়ে হেঁটে পাড় হওয়ার সময় আবারো নতুন করে পাহাড় ধসে পড়ে প্রায় ১১ জন যাত্রী। এতে মাটি ও পাহাড়ি গভীর খাদে পড়ে যায় তারা।
পরে দমকলবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জনতা দুপুর ৩টার পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে। এর আগে তারা আরো তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী বাস হেল্পার রমেল চাকমা জানান, যাত্রীবাহী বাস দৌলিয়ানপাড়া এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা পাহাড় ধসে পড়ে বন্ধ হওয়া সড়কটি পায়ে হেঁটে পাড় হচ্ছিল। হঠাৎ আবারো নতুন করে পাহাড় ধসে ৭ জন নিচে পড়ে গেছে।
উদ্ধারকর্মী মো.হারিশ জানান,বাস থেকে নেমে পারাপারের সময় তাদেরকে অনেকবার মানা করছিলাম।হঠাৎ উপর থেকে মাটি ধসে পরে তারা ১১ জন ছিটকে নিচে পরে যায়।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান,ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্পটে এসেছি এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেছি। নিখোঁজদের খুঁজে না পাওয়ার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
এদিকে ঘটনার খবর জানতে পেরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, ব্রিগেড কমান্ডার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পাহাড় ধসে যারা নিখোঁজ রয়েছে তাদের উদ্ধারের জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।